ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

‘নির্বাচনে জিতলে জেলে পাঠাবো’

hilary-trumpআগামী ৮ই নভেম্বর মার্কিন ভোটাররা তাঁদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন৷ কিন্তু দুই প্রার্থীই কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত৷ বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অতীত মন্তব্য ও আচরণের কারণে চাপের মুখে পড়ছেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দুই শীর্ষ প্রার্থীর মধ্যে টেলিভিশন বিতর্কের রীতি চলে আসছে বেশ কিছুকাল ধরে, যা অন্যান্য অনেক দেশেও অনুকরণ করা হয়৷ কিন্তু সর্বশেষ বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিন্টন যে ভাষায় পরস্পরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, তেমনটা সাম্প্রতিক কালে কেউ মনে করতে পারে না৷ একে অপরের দুর্বলতা তুলে ধরতে কোনো কার্পণ্য করেননি৷ এমনকি পরস্পরের প্রতি সৌজন্য দেখিয়ে করমর্দন করতেও প্রথমে প্রস্তুত ছিলেন না তাঁরা৷
নারীবিদ্বেষী মনোভাবের জন্য রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড কুখ্যাত৷ কিন্তু তাঁর অতীত জীবনের একের পর এক মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন তিনি৷ এড়িয়ে যাবার বদলে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে নিজের ভাবমূর্তি শোধরানোর চেষ্টা করছেন৷ এমনকি সর্বশেষ টেলিভিশন বিতর্কে তিনি বলে বসলেন, নারীদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রশ্নে তাঁর চেয়ে আন্তরিক অন্য কেউ নেই৷
বিতর্ক জুড়ে কোণঠাসা থাকার বদলে তিনি প্রতিপক্ষ ক্লিন্টনের বিরুদ্ধে মারাত্মক হুমকি দিতে থাকেন৷ নারী-বিদ্বেষী আচরণের জন্য তিনি হিলারির স্বামী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনকে আক্রমণ করেন৷
হিলারিকে ‘শয়তান’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ই-মেল কেলেঙ্কারির তদন্ত করিয়ে তিনি তাঁকে জেলে পাঠাবেন৷

ক্লিন্টন বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হবার অযোগ্য৷ রাশিয়া যেভাবে ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন দেখাচ্ছে, সেই অভূতপূর্ব ঘটনাকেও বিপজ্জনক হিসেবে তুলে ধরেন তিনি৷
টেলিভিশন বিতর্কের পর জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ দর্শক মনে করেন এবারের বিতর্কে ক্লিন্টন জিতেছেন৷ মাত্র ৩৪ শতাংশ মনে করেন, ট্রাম্পের জয় হয়েছে৷

  • ডয়সেভেলে

 

পাঠকের মতামত: